বাঙালিরা কোনো জিনিসের ১০% জেনেই তাতে কমেন্ট করে (অনেকটা সেই কয়েক অন্ধের হাতি দেখার অভিজ্ঞতার মতো), বাকি ৯০% মূল্যায়ন করার দরকার তাদের হয় না।
একবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মডেল গানের শ্যুটিং টিম এলো। তখন ডিরেক্টর নায়িকাকে দেখাচ্ছিল কীভাবে ওড়নাটা প্যাঁচাবে ও তা আলগা করে দোলাতে হবে। দূরে থেকে কিছু ছেলেমেয়ে এটা দেখে বলতে লাগলো, 'দেখ দেখ একটা ছেলে কী করছে! এ পাগল কোথা থেকে এলো?'
তার মানে সেখানে কী ঘটছে তা ৯০% জানার দরকার নাই, বাহির থেকে ১০% জেনেই মন্তব্য করা যায়।
বাস্তব জীবনেও আমরা মানুষের বিভিন্ন বিষয়ে এভাবেই মন্তব্য করে থাকি। যেটা আমার লাইফে আমি বহুবার ফেস করেছি।
২০/০৯/২০১৯ তে প্রথম আলোর চিঠিপত্র বিভাগে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়। পত্রিকার পাতায় সেই কলামে স্থান স্বল্পতার কারণে সম্পাদক মূল লেখাটির শিরোনামের প্রথম শব্দটি এবং লেখাটির শেষের দুইটি বাক্য বাদ দিয়ে দেয়। শিরোনাম ছিল "পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আইন চাই" তারা ছাপায় "পরিবেশ আইন চাই"; আর শেষের দুইটি বাক্য ছিল— "যে প্রজন্ম ময়লা দেখে দেখে ও দুর্গন্ধ শুঁকে বড় হয় তারা পরিচ্ছন্নতাবোধ শিখবে কী করে? তারা বড় স্বপ্ন দেখবে কী করে?"।
আমি এটা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র কমেন্টে বলে বসে যে আমার লেখার হেডলাইনে নাকি ভুল ছিল এবং লেখাতেও ভুল ছিল তাই সম্পাদক এই কাজ করেছে।
বিভিন্ন উন্নত দেশে "Clean Environmental Act" আছে। তাহলে তারই বাংলা "পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আইন"— এটি ভুল কোথায়?
আর শেষের দুইটি বাক্য কি অবান্তর?
বাংলাদেশে "পরিবেশ আইন" আছে; তবে তার আওতায় বনভূমি সংরক্ষণ, নদী, খাল, জলাধার ইত্যাদি সংরক্ষণের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে, পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তেমনভাবে নেই। তাই পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আইন ও প্রয়োগ থাকতে হবে।
আমার কোনো লেখা পোস্ট করা কিংবা কোথাও পাঠানোর আগে প্রতিটি বানান চেক করা হয়, প্রতিটি দাঁড়ি-কমা-সেমিকোলন ইত্যাদি চেক করা হয়। সার্থক বাক্যের যে তিনটি গুণ আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা তা চেক করা হয়। অধিকন্তু বাক্যের শব্দগুলোর সৌন্দর্য চেক করা হয়।
তাই দেখবে কিছু লোক আছে যারা তোমার দক্ষতা ও Intellectuality এর ধারের কাছেও নাই তারাও তোমার কাজ সম্পর্কে না জেনেই না বুঝেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসবে। তাদের সাথে তর্ক করে সময় খোয়ায়ে কাজ নাই।
So, don't care them.
No comments:
Post a Comment